ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় কি ও ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় বিস্তারিত সকল তথ্য জেনে নিন
বর্তমান সময়ে টাকা ইনকামের খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো ফেসবুক। তাই আপনি যদি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় কি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার জন্য।
যদি আপনি অন্যের ভিডিও দেখে ফেসবুকে সময় পার করে থাকেন। তাহলে বলব এখন চাইলে আপনিও আপনার নিজের ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুকে ইনকামের বেশ কিছু মাধ্যম রয়েছে। মাধ্যমগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টে আলোচনা করব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় কি
- ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
- ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়
- ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা
- ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায়
- ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি
- ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ইনকাম
- ফেসবুকে অ্যাডস অন রিলস এর সুবিধা
- ফেসবুকে স্টার সেটআপ থেকে ইনকাম
- আমার মতামত
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। বর্তমান সময়ে অনলাইনের সকল প্লাটফর্মের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারী সংখ্যা সব থেকে বেশি। তাই বিশাল সংখ্যক ব্যবহারকারীর প্ল্যাটফর্ম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা অসম্ভব কিছু নয়। এজন্য ইচ্ছা শক্তির প্রয়োজন এবং আপনাকে জানতে হবে ইনকামের উপায় গুলো কি কি এবং কিভাবে সেই সকল পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে হয়। তাহলে চলুন এবার ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
ফেসবুক থেকে ইনকাম করার সাতটি উপায় নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
১। কন্টেন্ট ক্রিয়েশন
২। অনলাইন কোচিং
৩। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস
৪। ফেসবুক গ্রুপ
৫। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
৬। স্পনসরড পোস্ট
৭। ইনফ্লুইয়েন্সার
১। কনটেন্ট ক্রিয়েশনঃ আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু দিয়ে যদি ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা যায় তাহলে লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। শুধু ভিডিও কনটেন্ট নয় আর্টিকেল বা ছবি দিয়েও ইনকাম করা যায়। সেজন্য আপনার তৈরি কনটেন্ট, আর্টিকেল, ছবি হতে হবে ফেসবুক ব্যবহারকারী অনুসারীদের কাছে আকর্ষণীয়। আপনি যদি চান তাহলে ফেসবুক প্রোফাইল বা ফেসবুক পেজ থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে ইনকাম করতে পারেন।
অধিকাংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইনকাম করছে।আপনি চাইলেও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারেন।
২। অনলাইন কোচিংঃ বর্তমান সময়ে অনলাইন কোচিং এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক রয়েছে যারা অনলাইনে শিক্ষকতা করে অর্থ উপার্জন করছেন। অনলাইন প্লাটফর্মে ফেসবুক অনুসারীদের কাছে আপনার পরিষেবা গুলি অফার করতে পারেন। অনলাইন কোচিং গুলো করার বিশেষ একটি সুবিধা রয়েছে সেটি হল- যে যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকেই এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
৩। ফেসবুক মার্কেটপ্লেসঃ আপনি যদি চান তাহলে নিজেকে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পরিচিত করতে পারেন। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস চমৎকার একটি প্লাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করা হয়ে থাকে। সেটি হতে পারে আপনার হাতে তৈরি কোন ঐতিহ্যবাহী খাবার কিংবা কারুকার্য বা অন্যান্য কোন জিনিস বা প্রোডাক্ট। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস গুলো আপনার অপরিচিত প্রোডাক্ট বিজনেসে পরিণত করার একটি মাধ্যম।
৪। ফেসবুক গ্রুপঃ আপনি যদি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে আগ্রহ দক্ষতার সাথে সম্পর্কিত একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে হবে। যে গ্রুপে অনেক সংখ্যক লোক যুক্ত থাকতে হবে। যেখানে আপনার দক্ষতা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিষ্ঠার সাথে সার্ভিস দিয়ে যেতে হবে। যাতে করে আপনার অডিয়েন্স আপনার সাথে যুক্ত থাকে এবং চলে না যায়। আপনার গ্রুপে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন এবং একচেটিয়া বিষয়বস্তু বা দক্ষতা অফার করতে পারেন।
৫। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন। আপনার রেফারেল এর মাধ্যমে করা প্রতিটি বিক্রয় পণ্যের উপর একটি কমিশন পাওয়া যায়। এটা এমন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে নামিদামি কোম্পানির প্রোডাক্ট বা পণ্য প্রচার করা হয়ে থাকে। আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইল পেইজেই এফিলিয়েটের লিংক শেয়ার করে ওই লিংকের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করে একটি কমিশন পাবেন। এভাবে এফিলেট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা হয়ে থাকে।
৬। স্পনসরড পোস্টঃ স্পন্সার পোস্ট মূলত স্পন্সর প্রোডাক্ট সার্ভিস। আপনার পেজে প্রোডাক্ট সার্ভিসগুলো প্রচার করতে পারবেন। তবে যে প্রডাক্টটি প্রচার করবেন সেটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে এরপর আপনার পেজের শ্রোতাদের মাঝে প্রচার করবেন এর বিনিময়ে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে। আপনার প্রচার করা স্পন্সার যদি আপনার অডিয়েন্সদের আগ্রহের সাথে সম্পর্কিত হয় তাহলে স্পন্সর করা পোস্ট এর বিষয়বস্তু প্রচার করে আয় করতে পারবেন।
৭। ইনফ্লুয়েন্সারঃ ইনফ্লুয়েন্সার হল সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাবশালী ও লাভজনক। এখানে আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে এবং সকলের কাছে প্রিয় হবে এরকম ব্র্যান্ড দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হবে। এরপর আপনি আপনার পছন্দমতো কোম্পানির প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন করে ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবার আলোচনা করব ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়। ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়টির সাথে ফলোয়ারের সম্পর্ক রয়েছে। এখন ধরুন আপনি একটি ফেসবুক পেজ বা অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করেছেন সেখানে ভিডিও দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে তেমনটা নয়।
প্রত্যেকটা জিনিসেরই একটা প্রাইভেসি রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে ফেসবুক কোম্পানিরও কিছু প্রাইভেসি রয়েছে তো সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণের ফলোয়ার্স হলে তবেই সেখান থেকে ইনকাম করা সম্ভব তো বন্ধুরা চলুন তাহলে এবার জেনে নিই ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়। যেহেতু ফেসবুকের নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে তো সেই শর্তে প্রথম শর্ত হিসেবে কাজ করছে ফলোয়ার। আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজে কম করে হলেও পাঁচ হাজার ফলোয়ার হতে হবে।
তো ফলোয়ার্সের মাধ্যমে প্রথম শর্ত পূরণ হলেও আরো একটি শর্ত থেকে যায় কারণ শুধু ফলোয়ার হলে টাকা ইনকাম করা যায় না। এর সাথে কিছু ওয়াচ টাইম তুলতে হয় তো ৬০ দিনে ৬০ হাজার মিনিট যদি ওয়াচ টাইম তোলা যায় তাহলে দুটি শর্ত পূরণ হয়ে যায়। তো এই দুটি শর্ত পূরণ হলে আপনার ফেসবুকে দেয়া ভিডিও কনটেন্টে বিজ্ঞাপন আসবে আর এই বিজ্ঞাপন থেকে আপনার ইনকাম শুরু হবে। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ফেসবুক থেকে মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। তো সেজন্য আপনাকে জানতে হবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের প্রক্রিয়া গুলো কি। যদি আপনি ফেসবুক থেকে ইনকামের প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে ধারণা পেতে চান তাহলে আর্টিকেল পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ে নিবেন। কারণ আর্টিকেলে শেষের দিকে এই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা
অনেকেই জানতে চান যে ফেসবুক থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে কত ভিউ হলে কত টাকা ইনকাম করা যায়। যারা ফেসবুকে কাজ শুরু করেছেন নতুন অবস্থায় তো তাদের এই বিষয়টি জানার আগ্রহ থেকেই থাকে। তবে কত ভিউতে কত ইনকাম এই বিষয়টা একটু পরিষ্কার করে বলা মুশকিল। তার কারণ আপনার ভিডিওটি কোন এরিয়ায় ভিউ হচ্ছে সেটা আগে বিশ্লেষণ করতে হবে। ধরুন আপনার কনটেন্ট ভিডিওগুলো যদি ইন্ডিয়া বাংলাদেশ এই সকল দেশগুলোতে বেশি ভিউ হয়।
তাহলে ইনকামের পরিমাণ খুব কম আর যদি আপনার কনটেন্ট গুলো আপনি ইউরোপের দেশগুলোকে লক্ষ্য করে করতে পারেন। এবং ইউরোপের দেশগুলোতে আপনার কন্টেন্ট গুলো বেশি ভিউ হয় তাহলে আপনার ইনকামের পরিমাণটা একটু বেশি হবে। অতএব এই ক্ষেত্রে এখানে ভিউয়ের উপরে ইনকামের পরিমাণের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। তারপর আপনার ভিডিওগুলো কোন ক্যাটাগরি সেটার উপরেও নির্ভর করে ইনকামের পরিমাণ।
যেমন ধরুন এন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও গুলো বেশি ভিউ হয়ে থাকে এশিয়ার দেশগুলোতে।এন্টারটেনমেন্ট ভিডিও গুলোর মধ্যে রয়েছে এগ্রিকালচার, কমেডি, নাচ, গান, কৌতুক, কবিতা এই ধরনের ভিডিওতে ১০ হাজার ভিউ হলে ফেসবুক এক ডলার পেমেন্ট দিয়ে থাকে। আবার যদি সায়েন্স এবং টেকনোলজি বিষয়ে কোন ভিডিও ১ হাজার ভিউ হলে ১ ডলার পেমেন্ট পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইসলামিক ভিডিও বা আর্ট বিষয়ক ভিডিও ৫ হাজার ভিউ হলে ১ ডলার পাওয়া যায়।
কিন্তু প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে হয় । কম করে হলেও আপনার ফেসবুকে ১০০ থেকে ২০০ টি ভিডিও থাকতে হবে এ থেকে এক সময় ভালো পরিমাণে আর্নিং করা সম্ভব হবে। কারণ প্রতিটি ভিডিও ভিউ হবে এবং সেখান থেকে ডলার ইনকাম করা যাবে। একপর্যায়ে দেখা যাবে আপনি ফেসবুক থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।
ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায়
ফেসবুক পেজ কিংবা প্রোফাইল দুটোই প্রফেশনাল ভাবে ইনকামের জন্য প্রযোজ্য। ফেসবুক কিংবা প্রোফাইল যদি আপনি নিয়মিতভাবে ভিডিও, ফটো, টেক্সট পাবলিশ করেন। আর ফেসবুকের পলিসি গুলো পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে একসময় দেখা যাবে ফেসবুক ভিডিও থেকে আপনি লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারছেন। আপনার পাবলিশ করা ভিডিও কনটেন্টগুলো যত ভিউ হবে তত বেশি ইনকাম করা যাবে।
ফেসবুক ভিডিও গুলো অনেকটাই tiktok এর ভিডিওর মতই। যারা ফেসবুক চালায় তারা সাধারণত বেশিরভাগ সময়ই রিলস ভিডিও দেখে সময় কাটায়। আপনার ভিডিও কন্টেন্ট গুলো এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে করে ফেসবুক ব্যবহারকারী অনুসারীদেরকে আকৃষ্ট করে। যেন আপনার ভিডিওগুলো অনেক বেশি দেখে। আর তখন ভিউয়ের পরিমাণ বেড়ে যাবে আর তখন আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাবে।
আর এভাবে বিজ্ঞাপন দেখানোর কারণে আপনার প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম হবে। আপনি যত বেশি ভিডিও আপলোড করবেন তত বেশি ইনকাম হবে। আপনি চাইলেই ফেসবুক থেকে প্রত্যেক মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো ফেসবুক রিলস তাই ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ফেসবুক কোম্পানি রিলস ভিডিওতে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ফেসবুকের ভিডিওতে সময় দেয়। আর ফেসবুকে রিলস ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। এর জন্য ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি পূর্ণ করতে হয়।
একজন ফেসবুক ইউজারের পাঁচ হাজার ফলোয়ার, পাঁচটি ইউনিক ভিডিও এবং ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম সর্বশেষ দুই মাসের মধ্যে হলেই ওই ইউজারের ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি পূর্ণ হয়ে যাবে এবং রিলস ভিডিওতে ফেসবুক বিজ্ঞাপন দেখাবে। এবং আপনার রিলস ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে যে ইনকাম হবে সেই ইনকামের ৪৫% আপনি পাবেন এবং ৪৫ শতাংশ ফেসবুক নিয়ে নিবে।
এভাবেই ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি পূর্ণ হওয়ার পরে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে থাকবেন।
ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম
ফেসবুক প্রোফাইল থেকেও যেমন ইনকাম হয় ঠিক তেমনি ভাবে ফেসবুক পেজ থেকেও ইনকাম করা যায়। তবে ফেসবুক পেজ এবং প্রোফাইলের মধ্যে একটা সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। ফেসবুক প্রোফাইলের তুলনায় ফেসবুক পেজের ইনকাম তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। তবে মনে রাখতে হবে ফেসবুক পেজ হোক কিংবা প্রোফাইল হোক সবটাতেই নিয়মিতভাবে ভিডিও কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে এবং ভিডিও কনটেন্ট আর্টিকেল গুলো অডিয়েন্সদের আকৃষ্ট করার মতো হতে হবে।
ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ইনকাম
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি জেনে নিন ফেসবুক প্রোফাইল থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। ফেসবুক প্রোফাইল থেকে টাকা ইনকাম করা যায় কিন্তু ফেসবুক প্রোফাইল থেকে টাকা ইনকামের একটি বড় অসুবিধা হলো প্রোফাইল এ আপলোড দেওয়া ভিডিও ভিউস কম হয় অর্থাৎ অডিয়েন্সদের কাছে কম পৌঁছায়। যে কারণে পেজের থেকে প্রোফাইলে ইনকামের পরিমাণটা তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে।
ফেসবুক অ্যাডস অন রিলস এর সুবিধা
ফেসবুক অ্যাডস অন রিলস চালু হওয়া মানে আপনার ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখানোর পারমিশন পাওয়া। বর্তমান সময়ে ফেসবুকে অ্যাডস অন রিলস এর মাধ্যমে সব থেকে বেশি ইনকাম করা সম্ভব। ফেসবুক এডস অন রিলস এর বড় সুবিধা হিসেবে কাজ করছে যে এটির মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে সঠিক নিয়মে ফেসবুকের সকল গাইড লাইন মেনে ভিডিও আপলোড করতে হবে।
ফেসবুকে স্টার সেটআপ থেকে ইনকাম
বর্তমান সময়ে ফেসবুকে স্টার সেটআপ পেয়ে গেলে ইনকাম শুরু হয়ে যায়। আপনার ভিডিও কন্টেন্ট গুলো যদি আপনার অডিয়েন্সকে আকৃষ্ট করে এবং পছন্দ হয় তখন ওই অডিয়েন্স আপনার ভিডিওর উপরে স্টার দিয়ে থাকে এবং তখন আপনাকে ফেসবুক কোম্পানি স্টারের বিনিময়ে টাকা প্রদান করে থাকবে এভাবে স্টার সেটআপের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। কিন্তু এর জন্য আপনাকে নিয়মিতভাবে ভিডিও পাবলিশ করতে হবে।
আমার মতামত
আজকের এই আর্টিকেল পোস্ট এর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় কি এবং কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। আশা করছি, আপনি এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হবেন। তাই এখন পর্যন্ত আপনি যদি এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ে না থাকেন, তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্ট পড়ে নিবেন। আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি এই ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিতভাবে আপডেট তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পাবলিস্ট করা হয়ে থাকে।
তাই এইরকম আরো বিভিন্ন ধরনের আপডেট ইন্টারনেট ও তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পেতে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। সবশেষে বলব এতক্ষণ পর্যন্ত আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে ধৈর্য সহকারে এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url