OrdinaryITPostAd

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের জন্য থাকছে, কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আজকের এই আর্টিকেলে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করবেন। সেই উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

আপনি যদি আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে, কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমরা অনেকেই আছি যারা কম্পিউটার শিখে আয় করতে চাই। তাহলে আপনাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি বিস্তারিত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় 

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় কি কি? বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই আছি যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি বা কম্পিউটারের কাজ জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা এটা জানি না যে, কম্পিউটার শিখে অনলাইনের মাধ্যমেও আয় করা যায়। আপনি কম্পিউটার শিখে সেরা ৫টি আয়ের মাধ্যমেও বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারবেন।

আবার বিভিন্ন রকমের অনলাইন মার্কেটপ্লেসও আছে। আপনি চাইলে, সেই সকল অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতেও ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যে সকল অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন, সেই সকল অনলাইন মার্কেটপ্লেসের নাম জানতে এখানে ক্লিক করুন

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক সেরা ৫টি আয়ের উপায় এর নাম-

১। ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়

২। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আয়

৩। এস.ই.ও (SEO) শিখে আয়

৪। ব্লগিং করে আয়

৫। ওয়েব ডিজাইন শিখে আয়

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয়  করার উপায়

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় সমূহ সম্পর্কের মধ্যে প্রথমেই বলবো ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয় করুন। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করা খুবিই সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সময়ে। আপনি যদি নিজের কাজে স্কিল (Skill) এক্সপার্ট হতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় ইন্ডাস্ট্রি, তাই এরকম ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে অনেক রকমের কাজ রয়েছে। এর প্রতিটা কাজের জন্য আলাদা আলাদা জব স্যালারি রয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি ?

এখনকার আধুনিক সময়ের বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। আর এই ডিজিটাল যুগের মানুষগুলো অনেক ডিজিটাল হয়ে গেছে। বর্তমান ডিজিটাল যুগের মানুষ এখন ঘরে বসেই পণ্য ক্রয় করে বা বিক্রয় করে থাকে। তাহলে আপনি কেন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন না ?

তবে হ্যাঁ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে খুব সহজে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। তাই আপনাকে সবার আগে জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? এক কথায় বলা যায় ডিজিটাল ভাবে যে কাজগুলো করা হয় সেটাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। মানুষ আগের যুগে মুখে কথা বলে প্রতিভা প্রচার করত। তখনকার সময়ে মানুষের অনেক কষ্ট হতো এবং প্রচুর সময় ব্যায় হতো। 

আর এখনকার ডিজিটাল সময়ের মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই আরো বেশি বেশি জনসম্মুক্ষে নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে। তাই বলতে পারি এখন অল্প সময়ে ডিজিটাল ভাবে বেশি বেশি প্রচার করার কাজ গুলোই হল ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় এর মধ্যে অন্যতম মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবেন?

এবার আপনাদের জানাবো ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমে চলে আসে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজটা অনেক সহজ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করার পদ্ধতি একই থাকে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং করার ধাপ গুলোর কোন পরিবর্তন হয় না। এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করা অনেক সহজ। বর্তমান সময়ের চাকুরি থেকে শুরু করে বাবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। অপরদিকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।

ডিজাইনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। এবং ক্রিয়েটিভ ডিজাইন এর কাজ করতে না পারলে কাজ অনেক পিছিয়ে যাবে। তাই আপনি যদি একটু কষ্ট করে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন তাহলে সব সময় আপনি একই পদ্ধতিতে কাজ করতে পারবেন।

অনলাইন থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করে আয় করার উপায়

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় কি কি? এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ পোস্টে। এবার আপনাদের জানাবো অনলাইন থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করে কিভাবে আয় করা যায়? আপনি নিজের একটা অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ প্রোফাইল তৈরি করে কাজ করতে পারবেন।

এমন অনেক মানুষ আছে, যারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করানোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটার এক্সপার্ট খুঁজে। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে খুব সহজে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেন।

আবার অনলাইনে নিজেদের একটা ডিজিটাল মার্কেটিং ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে কাজের বিবরণ দিয়ে ক্লাইন্ট পাওয়া যায়। তাহলে চলুন এবার আপনাদের জানাবো অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সেরা ৫টি মার্কেটপ্লেসের নাম।

আপনি যে সকল অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ প্রোফাইল তৈরি করে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন। সেই সকল মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে অন্যতম ৫টি সেরা মার্কেটপ্লেস হল--

১। Fiverr

২। Freelancer

৩। Upwork

৪। People per hour

৫। Seoclerks

বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ ডিজিটাল মার্কেটিং কে পেশা হিসেবে নিতে চাই তাহলে তার কখনো আর্থিক সংকটে পড়তে হবে না। চাকরি না পেয়ে ঘরে বসে থাকা লাগবে না।

কিংবা চাকরির পাশাপাশি এক্সট্রা ইনকামের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর পেশাটি বেছে নেওয়া যায়। এভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ও পেশাগত জীবনে অনেক উন্নতি সাধন করা সম্ভব। তাই বেকারভাবে ঘরে বসে না থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয় এবং উন্নতি সাধন করুন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আয় করার উপায়

কম্পিউটার শিখে সেরা ৫টি আয়ের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অনেক ভাবে আয় করা যায়। এবং বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অনেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় কি কি? এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এবার আপনাদের জানাবো গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একেবারে সহজ ভাষায় বলতে গেলে টেক্স এবং ইমেজের কম্বিনেশনে পুরো ডিজাইন তৈরি করা।

বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির লোগো যে ডিজাইন গুলো এবং কোম্পানির প্রচার-প্রচারণার জন্য ব্যানার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যাদের বিভিন্ন কোম্পানি প্রমোশন এবং বিজ্ঞাপন এর জন্য কাজ করা হয়।

সহজ করে বলতে গেলে গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে কোন ছবি, ডিজাইন, লোগো, এবং স্লোগান/টেক্স এর কম্বিনেশনে তৈরি নান্দনিক ও আকর্ষণীয় ডিজাইন। অর্থাৎ কোন ছবি, সংকেত চিহ্ন, বিভিন্ন সেপ এবং লেখার কম্বিনেশনে তৈরি ডিজাইনই গ্রাফিক্স ডিজাইন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর চাহিদা

গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান মার্কেটপ্লেস গুলোতে অন্যান্য কাজকর্মের তুলনায় গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা ভ্যালু তুলনামূলক বেশি। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ঘরে বসে তার চাকরির পাশাপাশি এবং অন্যান্য কাজকর্মের পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতেও কাজ করে উপার্জন করতে পারে। 

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার চাইলে খুব সহজেই ভালো কোন একটি কোম্পানিতে চাকরি করতে পারে। এছাড়াও চাইলে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কোন একটি আইটি সেকশনে অথবা কোন প্রমোশনাল ব্র্যান্ডিং কোম্পানিতে চাকরি নিতে পারে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা বর্তমানে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, লোগো, পোস্টার, ফ্লায়ার ইত্যাদির কাজগুলো করে থাকেন।

বর্তমান মার্কেটপ্লেসে একজন প্রফেশনাল বা এক্সপার্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা শীর্ষের স্থানে রয়েছে। যার ফলে একজন প্রফেশনাল বা এক্সপার্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার উচ্চ মানের বেতনে বিভিন্ন ধরনের আইটি সেকশনে বা কোম্পানিতে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করে থাকেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কি কি প্রোগ্রাম শিখতে হবে

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় কি কি? এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কি কি প্রোগ্রাম শিখতে হবে আপনাদের জেনে রাখা উচিত। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রোগ্রাম শিখতে চান?

তাহলে আমি বলব গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখতে হলে আপনাকে আগে কয়েকটি সফটওয়্যার এর কাজ ভালোভাবে শিখতে হবে এবং সেই সকল সফটওয়্যার এর কাজগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সফটওয়্যার এর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম সফটওয়্যার হলঃ-

  • এডোবি ইলাস্টেটর (Adobe Illustrator)
  • এডোবি ফটোশপ (Adobe Photoshop)
  • লোগো মেকার (Logo Maker) ইত্যাদি

আপনি ইউটিউবে এ সমস্ত সফটওয়্যার এর পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। এবং আশা করছি সেখান থেকে আপনি নিশ্চিন্তে কাজ শিখে যাবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর বেতন কত

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর স্যালারি তার দক্ষতা অনুযায়ী ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে অনেক গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা আছে যারা বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে থাকেন, তারাও প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন। একটা মজার বিষয় হল যারা এই সেকশনে কাজ করছেন। 

তারা বেশির ভাগই ফিক্সট বেতনে কাজ না করে। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে থাকেন। তবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার নির্ধারিত বেতনের চাকরি করার চেয়ে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কতদিন সময় লাগে ?

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন সময় লাগবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি প্রতিদিন কতটুকু সময় দিচ্ছেন গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, আপনি যত বেশি সময় ব্যয় করবেন আপনি তত বেশি বিষয়ে জানতে পারবেন। এছাড়াও এখানে আরো একটি উল্লেখ্য বিষয় থাকে যে, আপনি কোথায় থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখছেন তারা কতদিন আপনাকে শেখাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন কোর্সের জন্য একটি ডিউরেশন নির্ধারণ করা থাকে, যেমন- তিন মাস, ছয় মাস বা এক বছর। এছাড়া আপনি যদি ফ্রিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার সময় এমনিতে একটু বেশি লাগবে। 

কেননা আপনাকে প্রচুর ঘাটাঘাটি করতে হবে এবং খুঁটিনাটি অনেক বিষয় জানতে হবে। যা আপনি একটি ট্রেনিং সেন্টারে খুব সহজেই শিখতে পারতেন গ্রাফিক্স ডিজাইন। তবে নরমালি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগতে পারে।

এস.ই.ও (SEO) শিখে আয় করার উপায়

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় কি কি? এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি চলুন এবার জেনে নেয়া যাক এস.ই.ও (SEO) শিখে আয় করার উপায় সম্পর্কে। একটি উদাহরণ দিয়ে বলি। মনে করেন আপনি যদি কোন একটি প্রতিষ্ঠানের কিবোর্ড বা মাউস কিনতে চান আর গুগলে তার সম্পর্কে সার্চ করেন।

আপনি যে সকল প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্রথমে দেখবেন, সেই সকল নামের প্রতিষ্ঠানের পণ্য সবার উপরে দেখাবে কারণ, সেগুলো এস.ই.ও (SEO) করা। এভাবে আপনার যদি কোন ই-কমার্স সাইট থাকে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সফল ভাবে এস.ই.ও (SEO) করা থাকলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিউ বেশি হবে।

আর আপনার পণ্যের সেলও বেশি বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর যদি আপনার ই-কমার্স সাইট না থাকে, আপনার ব্যক্তিগত ব্লগ সাইট বা নিউজ পেপার থাকে তাহলেও, আপনি ভালো মানের অর্থ আয় করতে পারবেন। আপনার ই-কমার্স বা ব্যক্তিগত ব্লগ সাইটে ভিউ ভালো হলে।

আপনি গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেলে আপনার ই-কমার্স বা ব্যক্তিগত ব্লগ সাইটে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বা অ্যাড প্রদর্শিত হবে। ভিজিটররা এগুলো যত বেশি দেখবে আপনি তার জন্য গুগল থেকে টাকাও বেশি আয় করতে পারবেন। আবার আপনার ই-কমার্স বা ব্যক্তিগত ব্লগ সাইটে অনেক বেশি ভিউ থাকলে।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আপনার সাথে যোগাযোগ করে আপনার ই-কমার্স বা ব্যক্তিগত ব্লগ সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিতে চাইবে। আবার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং করার সাইট যেমন- ফাইবার, আপওয়ার্ক ইত্যাদিতে ক্লায়েন্টরা তাদের ওয়েবসাইট এস.ই.ও (SEO) করার জন্য মানুষ খোঁজে।

আপনি এস.ই.ও (SEO) শিখে যদি এস.ই.ও (SEO) এর কাজটা ভালোভাবে পারেন তবে মার্কেটপ্লেসেও রয়েছে অনেক কাজের সুযোগ। আবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আয় করতে পারবেন।

এস.ই.ও (SEO) কি ?

এবার আপনাদের মধ্যে আলোচনা করব এসিও কি? এস.ই.ও (SEO) এর প্রধান কাজ হল আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগকে গুগলে টপ রেংকিং করা। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে সেখানে আপনি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে লিখালিখি করেন। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে একটি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে লিখা আছে ( কম্পিউটার শিখে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় ) এর ওপর। 

এই লিখাটিকে যদি আপনি সফলভাবে এস.ই.ও (SEO) এর মাধ্যমে টপ র‍্যাংকিং করান। তাহলে যদি কেউ গুগলে (কম্পিউটার শিখে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় ) লিখে সার্চ দেয় তাহলে প্রথমেই আপনার লিখা পাবে আর ৯০% ক্ষেত্রেই মানুষ প্রথম লিখাটিই পড়ে। লেখক হিসেবে আপনার লিখা বেশি মানুষ পড়বে এটা আপনার কাম্য। 

আপনি যদি এস.ই.ও (SEO) করে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগকে টপ রেংকিং করান। তবে আপনার ওয়েবসাইটে পাঠকের সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।

এস.ই.ও (SEO) শিখতে কি কি লাগে ?

এস.ই.ও (SEO) শেখার জন্য ভিন্ন ভাবে কোন কিছুর দরকার নেই। এস.ই.ও (SEO) শেখার জন্য শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই হবে।

আপনি যদি মনে করেন যে, ইউটিউবে ভিডিও দেখে এস.ই.ও (SEO) শিখবেন। তাহলে আমি বলব কোর্স বা টিউটোরিয়াল ছাড়া কোন ভাবেই এস.ই.ও (SEO) শিখতে পারবেন না। কারণ, আপনি যদি ভালোভাবে এস.ই.ও (SEO) শিখতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোর্স ক্রয় করতে হবে এসিও শেখার জন্য।

সাধারণত প্রতিটি এস.ই.ও (SEO) কোর্স বা টিউটোরিয়াল মূল্য ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া আপনি চাইলে কোর্স ক্রয় করে অথবা একটি ভালো মানের প্রতিষ্ঠান বা আইটি সেন্টার গুলো থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভালোভাবে এস.ই.ও (SEO) শিখতে পারেন। সেটা আপনার জন্য অনেক ভাল হবে এস.ই.ও (SEO) শেখার জন্য।

আপনি চাইলে ইউটিউব এর ভিডিও দেখে এস.ই.ও (SEO) বিষয় প্রাথমিক ধারণা নিতে পারেন। কারণ এস.ই.ও (SEO) এর মধ্যে অনেক বিষয় আছে যা, প্রথম দিকে আপনার বুঝতে অনেক সমস্যা হতে পারে। আপনার ইউটিউব এর ভিডিও থেকে এস.ই.ও (SEO) বিষয় প্রাথমিক ধারণা থাকলে পরবর্তীতে কোর্স করতে সুবিধা হবে। 

এস.ই.ও (SEO) শিখতে কতদিন লাগে ?

এবার আপনাদের জানাবো এস.ই.ও (SEO) শিখতে কতদিন লাগে? আপনি একটি কোর্স শেষ করতে যত বেশি সময় ধরে এস.ই.ও (SEO) শিখবেন তত ভালোভাবে এস.ই.ও (SEO) এর কাজ শিখতে পারবেন। এস.ই.ও (SEO) এর কাজ ভালোভাবে শিখতে হলে আপনার একটি কোর্স শেষ করতে ২০ থেকে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এখন আমার একটি প্রশ্ন হল ২০ থেকে ৩০ ঘন্টা কাজ শেষ করে কি, আপনি এস.ই.ও (SEO) করতে পারবেন ? 

আমি বলবো না ! কারণ, আপনি ২০ থেকে ৩০ ঘন্টা কাজ শেষ করে আপনার প্রাথমিক ভাবে একটা ধারণা হবে। কিন্তু আপনি নিজেকে কখনো এস.ই.ও (SEO) কাজ করার যোগ্য করে তুলতে পারবেন না। তারমানে আপনি বুঝতেই পারছেন যে, আপনাকে এস.ই.ও (SEO) এর কাজ ভালোভাবে শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই এস.ই.ও (SEO) বিষয়ে বেশি সময় দেয়াটাই আপনার জন্য ভালো হবে।

এছাড়া আপনি এস.ই.ও (SEO) এর কাজ ভালোভাবে শিখতে চান? তাহলে আপনার নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে। এবার আপনার নিজের ব্লগ সাইটকে লক্ষ্য করে এস.ই.ও (SEO) করতে হবে। আপনার এই ব্লগ সাইটটি আপনাকে কাজ পাওয়ার জন্য পরবর্তীতে সহযোগিতা করবে। কারণ বায়ার যখন আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনি কোন কোন ওয়েবসাইটে এস.ই.ও (SEO) কাজ করেছেন?

তখন আপনি বায়ার কে আপনার ব্লগ সাইটটি দেখাতে পারবেন। সব থেকে বড় বিষয় হলো ব্লগ সাইটটি আপনাকে ফ্রি প্র্যাকটিস করার সুযোগ তৈরি করে দিবে। সুতরাং এস.ই.ও (SEO) পরিপূর্ণভাবে শিখতে হলে অনেক দিন সময় লাগতে পারে। এস.ই.ও (SEO) শেখার পর এস.ই.ও (SEO) কাজ করাটা অনেক কঠিন হতে পারে। কারণ এস.ই.ও (SEO) কাজের জন্য অনেক সময় দিতে হয় বিশেষ করে অফপেজ এস.ই.ও (SEO) করার জন্য।

ব্লগিং করে আয় করার উপায়

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় কি কি? এই বিষয়টি আলোচনা করেছি। এবার আপনি জেনে নিন ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যায়। আপনি যদি আপনার ব্লগে তথ্যপ্রযুক্তি বা ইলেকট্রনিক্স বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন তাহলে আপনার ইনকামও বেশি হবে।

আপনার ব্লগ থেকে আপনি ব্লগিং করে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করবেন, এটা নির্ভর করবে আপনি কোন বিষয় নিয়ে লিখালিখি করছেন। সাধারণত গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগের লেখার সাথে মিল রেখেই বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তবে আপনারা একটি বিষয় মনে রাখবেন।

আপনার ব্লগে তথ্যপ্রযুক্তি বা ইলেকট্রনিক্স বিষয় নিয়ে যদি লেখালেখি করেন, তাহলে আপনার ইনকাম অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও ইনকাম নির্ভর করে আপনার ব্লগের ভিজিটরের ওপর। কারণ আপনার ব্লগে যদি প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার ভিজিটর আসে তাহলে, আপনার ব্লগ থেকে প্রতি মাসে ২০০$ ডলার বা ৩০০$ ডলার আয় করা সম্ভব হতে পারে।

আমি এখানে যে আয়ের কথা বলছি এটা শুধু আপনারা গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন মাঝে মাঝে এর থেকে কম বেশিও হতে পারে। এছাড়াও আপনি আপনার ব্লগ থেকে আরও নানা রকমের উপায়ে আয় করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে এমন অনেক ব্লগার আছে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, প্রতি মাসে ১০০০$ ডলারের ওপরেও ইনকাম করছে। আপনি চাইলে আপনার ব্লগ থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে পারেন।

ব্লগিং কি ?

ব্লগিং সম্বন্ধে জানতে হলে প্রথমে আপনাদের জানতে হবে ব্লগিং কি? ব্লগিং কিভাবে করা হয় এবং  ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা সম্ভব হয়। ব্লগিং হলো একটি মুক্ত পেশা যে কেউ ব্লগিং করতে পারে। ব্লগিং করে আপনি প্রচুর অর্থ আয় করতে পারেন। ব্লগিং করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে সেটি ফ্রিও হতে পারে আবার পেইডও হতে পারে। 

আপনার ব্লগ থেকে অনেক রকমের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনি নিজের কোন পণ্য বিক্রি করতে পারেন অথবা অন্যের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়েও আয় করতে পারেন। সাধারণত আমরা যেভাবে আয় করি সেটাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সেটি হল একটি এক্টিভ ইনকাম ও আরেকটি হল প্যাসিভ ইনকাম। আমাদের বেশিরভাগই ইনকামই হচ্ছে এক্টিভ ইনকাম।

এক্টিভ ইনকাম হলো সেই ধরনের ইনকাম যেই সকল কাজ আমরা করার সাথে সাথে ইনকাম করি যেমন কেউ যদি রিক্সা চালায় তাহলে সে যতক্ষণ রিক্সা চালাবে তথক্ষণই তার আয় হবে। কিন্তু সে যদি একদিন রিক্সা না চালায় তাহলে সেদিন তার কোন ইনকাম হবে না। আবার এরকম আরো অনেক এক্টিভ ইনকাম আছে যেমন চাকরি, ব্যবসা, কোন পণ্য বিক্রি করা ইত্যাদি। 

আর প্যাসিভ ইনকাম হল এমন একটি ইনকাম যেটিতে আপনি প্রথম কিছুদিন কাজ করা পর এক সময় আর কাজ না করলেও সেটি থেকে ইনকাম আসতে থাকে। আপনি ব্লগিং করেও প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ব্লগিংও এই প্যাসিভ ইনকামের মধ্যে পড়ে, ব্লগিং এ আপনি কিছুদিন হার্ডওয়ার্ক করলে পরে আপনি যদি অনেক সময় ধরে কাজ নাও করেন, তাহলেও সেখান থেকে ইনকাম আসতে থাকবে। 

যেমন যদি আপনি কোন একটি বড় বাড়ি তৈরি করেন এবং সেটি যদি ভাড়া দেন তাহলে আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও সেখান থেকে টাকা আসতেই থাকবে। আরো আছে যেমন যদি কোন লেখক কোন বই লিখে তাহলে যতদিন সেই বই বিক্রি হবে ততদিনই সেই বই লেখক সেখান থেকে ইনকামের টাকা পাবেই। এমনকি যদি সেই লেখক মরেও যায় তাহলে তার বংশধরেরা সেখান থেকে টাকা পাবে, এটি হলো প্যাসিভ ইনকাম।

ব্লগিং কিভাবে করা হয় ?

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় কি কি? এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন এবার জেনে নেই ব্লগিং কিভাবে করা হয়? প্রথমেই বলবো ব্লগিং করার জন্য প্রথমে আপনার একটি ওয়েবসাইট লাগবে যেটিতে আপনি লিখালিখি করবেন। আপনি ব্লগিং ফ্রিতেও করতে পারেন আবার টাকা দিয়েও ডোমেইন হোস্টিং কিনেও করতে পারেন।

 আপনি ইচ্ছে করলে টাকা দিয়ে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগিং করলে সুযোগ সুবিধা একটু বেশি পাবেন তবে ফ্রিতেও অনেকে ব্লগিং করে ভালো পরিমাণের টাকা আয় করছে। ফ্রিতেও অনেক ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়, ফ্রিতে ব্লগিং করার জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ব্লগার (blogger) এবং ওয়ার্ডপ্রেস (wordpress)।

এই দুটি অনেক ভালো, নতুন অবস্থায় ব্লগিং শুরু করার জন্য এই দুটি থেকে যেকোনো একটি আপনি বেচে নিতে পারেন। ব্লগার হচ্ছে গুগলের প্রোডাক্ট তাই এস.ই.ও (SEO) এর জন্য ব্লগারেই ব্লগিং করা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও ব্লগারের হোস্টিং স্পিড অনেক ভালো।

কি কি বিষয়ে ব্লগিং এ লেখালেখি করা যায় ?

এবার আপনাদের মধ্যে আলোচনা করব কি কি বিষয়ে ব্লগিং এ লেখালেখি করা যায়? আপনি যেই বিষয়ে পারদর্শী এবং যেটি আপনার কাছে ভালো লাগে সেই বিষয়েই আপনি ব্লগিং এ লেখালিখি শুরু করে দিতে পারেন। ব্লগিং এ আপনি যেকোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সেটি কোন সেক্সূয়েল বিষয় বা হ্যাকিং বিষয় যেন না হয়। এগুলো ছাড়া আপনি যেকোনো বিষয়ে লিখালিখি করে আয় করতে পারবেন। 

একটি বিষয় মাথায় রাখবেন আপনি যদি প্রথমেই ব্লগিং এ টাকার আয়ের কথা চিন্তা করে ব্লগিং শুরু করেন তাহলে ব্লগিং এ বেশি দিন টিকতে পারবেন না। ব্লগিং এ আয় হচ্ছে একটি দীর্ঘ সময়ের যাত্রা, আপনি ভালোলাগা থেকে এখানে লেখালিখি করতে থাকলে একসময় দেখবেন প্রচুর ভিজিটর আপনার লেখা পড়তে আপনার ব্লগে আসবে। 

তখন আপনি গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে আয় করতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই অনেক পরিশ্রম ও ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ধৈর্য না হারিয়ে প্রত্যাশা রেখে সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

ব্লগিং করার জন্য কি কি বিষয় শিখতে হবে ?

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ব্লগিং করার জন্য কি কি বিষয় শিখতে হবে। ব্লগিং করার জন্য বিশেষ করে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এস.ই.ও (SEO) এটি আগে শিখতে হবে, না হলে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুগলের সার্চ রেজাল্টে আসবে না। আর সার্চ রেজাল্টে যদি না আসে তাহলে আপনি ভালো পরিমান ভিজিটরও পাবেন না। 

আপনি যদি ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে, আপনাকে যে কোন একটি প্লাটফর্ম ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিভাবে পোস্ট করবেন এবং অনপেইজ এস.ই.ও (SEO) করবেন। সেগুলো শিখে তারপর ব্লগিং শুরু করতে হবে।

না হলে আপনার ব্লগে কোন ভিজিটর পাবেন না।আপনার ব্লগে যদি কোন ভিজিটর না আসে তাহলে আপনার কোন আয় হবে না। আপনাকে সেজন্য আগে আপনার ব্লগিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা গুলো শিখে নিতে হবে।

ওয়েব ডিজাইন শিখে আয় করার উপায়

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় কি কি? এই বিষয়ে উপরে আলোচনা করেছি। এবার আলোচনা করব আপনি কিভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখে আয় করবেন। আপনি কি ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান। ওয়েব ডিজাইন থেকে আয় করার বিভিন্ন রকমের উপায় রয়েছে। আপনি যদি একজন এক্সপার্ট ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন।

তাহলে উপায় গুলো কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইন অথবা অফলাইন দুটো ভাবেই আয় করতে পারবেন। আর যদি আপনি ওয়েব ডিজাইনার এক্সপার্ট না হন-তবে আপনি শিখতে পারেন ওয়েব ডিজাইন যেমন, পুরো পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তেমনি ভাবে শিখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের শেখার অনেক মাধ্যমে সোর্স রয়েছে ।

ওয়েব ডিজাইন শেখার মাধ্যম সোর্স টি অনলাইন অথবা অফলাইন দুটো ভাবে শেখা যায়। একজন এক্সপার্ট ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে বা কাজে সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই কঠোরভাবে পরিশ্রম, নিয়মিত অনুশীলন ও কাজের প্রতি ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ইউনিক ডিজাইন শিখার মধ্য দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের কাজের সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়।

ভালো মানের ওয়েব ডিজাইন করে  ক্লায়েন্ট এর সঙ্গে কাজ করা যাই এবং কাজ শেষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের স্যালারি ড্র করে থাকে। একজন ওয়েব ডিজাইনারের কাজ হল ভালো ডিজাইন করা কোম্পানি যে কাজ দেবে সেই কাজটি দক্ষতার সাথে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করায় মূল কাজ বা দায়িত্ব।

ওয়েব ডিজাইন কি ?

ওয়েব ডিজাইন কি? ওয়েব ডিজাইনের কাজ হলো ইন্টারনেট ব্রাউজারে মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সামনে উপস্থাপন করা। এবং ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে ওয়েবসাইট সাজানোর কাজকে বোঝায়। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় যে, ওয়েব ডিজাইন হল কোন ওয়েবসাইটের বাইরের রূপ দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারণ করার নাম। ওয়েবসাইট দেখার ভিন্নতা রূপ লক্ষ্য করা যায়। 

যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, টিক টক, টুইটার ইত্যাদি দেখতে একেক রকম। আর দেখার ব্যাপারটা নির্ভর করে ডিজাইনের ওপর। একটি ওয়েবসাইটের বাহ্যিক রূপ, লেখার কালার, সাইজ ,ছবি ইত্যাদি কোথায় কেমন হবে সেগুলো নির্ভর করে ডিজাইনের ওপর। অতএব এ সকল বিষয়গুলো  ওয়েব ডিজাইনের অন্তর্ভুক্ত।

ওয়েব ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় কি কি? এই বিষয়টি উপরোক্ত আলোচনায় জানানো হয়েছে। এবার আপনাদের জানাবো ওয়েব ডিজাইন শিখে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করবেন। ওয়েব ডিজাইন শিখে আয় করার একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ওয়েব ডিজাইনে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আয় নির্দিষ্ট নয়। আয়ের পরিমাণ নিজের কাজের উপর নির্ভর করে।

চাইলে আয় বাড়ানো সম্ভব নিজের কাজের মাধ্যমে। কিন্তু ডিজাইন এজেন্সীতে চাকরি করতে চাইলেও ইচ্ছামত আয় এর পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব না। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কাজ করা যায়। ঘন্টায় দশ ডলার থেকে শুরু করে ১০০$ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

আর যারা এখনো ফ্রিল্যান্সিং সাইডে তাদের নিজের অবস্থানটি শক্তভাবে ধরতে পারেনি তাদের ৫$ ডলার থেকে ১০$ ডলার কাজ করে । আবার এমন কিছু সফল এক্সপার্ট ফ্রীল্যান্সার রয়েছে যারা ঘণ্টায় ১০০$ ডলারেরও বেশি আয় করে থাকে। তবে ক্লাইন্ট এর পাশাপাশি নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্য অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।

অনেক সময় দিতে হবে যার মাধ্যমে নতুন নতুন ক্লায়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে এবং আয়ের পরিমাণটাও বৃদ্ধি পাবে। অতএব বুঝতেই পারছেন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে চাকরি থেকে অন্যতম উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা।

নিজের এজেন্সি খুলে আয়

কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় কি কি? এ বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি একজন এক্সপার্ট ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন। তাহলে, নিজের একটি এজেন্সি খুলতে পারেন। আর এজেন্সির মাধ্যমে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে আরো অনেককে ওয়েব ডিজাইন শেখাতে পারবেন।

তবে এজেন্সির জন্য বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে নিজেকে তৈরি করতে হবে। একজন সফল  ফ্রিল্যান্সার এর পরেই আসে এজেন্সি। অতএব নিজেকে সফল ফ্রিল্যান্সার তৈরি করে ক্রমান্বয়ে ক্লাইন্ট বাড়াতে হবে এবং সব ক্লায়েন্টের কাজ করার মত যখন আপনার সময় হবে না। 

তখন লোক নিয়োগের প্রয়োজন পড়বে। সে ক্ষেত্রে আপনি একটি এজেন্সি খুলে লোক নিয়োগ দিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার মত মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি সব মার্কেটপ্লেসগুলোতে এজেন্সি একাউন্ট খোলার অপশন রয়েছে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় সমূহ সম্পর্কে জেনে নিন। এই বিষয়ে আলোচনার শুরুতে বিস্তারিতভাবে কম্পিউটার শিখে আয়ের উপায় সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কম্পিউটার শিখে আয়ের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা পেতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি খুব ভালোভাবেই কম্পিউটার শিখে আয়ের উপায় সম্পর্কে যে সকল তথ্য রয়েছে সেগুলো জানতে পারবেন।

আশা করছি আপনি কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করা যায় এমন সেরা ৫টি আয়ের উপায় সমূহ সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আপনি নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।

সবশেষে বলব, এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন। আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দেবেন। ধন্যবাদ !

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪